বিশেষ সংবাদদাতা ( বীরভূম ) : বাঙালির গর্ব শান্তিনিকেতনে গুরুত্ব হারিয়েছে বাংলার ভূমি সন্তানেরা। সমগ্র শান্তিনিকেতন এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে মারাত্মক হারে বেড়ে গিয়েছে হিন্দির দাপট। এই অবস্থায় রবি ঠাকুরের স্মৃতি বিজরিত শান্তিনিকেতনে বাংলা ভাষার গুরুত্ব ফেরাতে পথে নামল বাংলাপক্ষ। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে শনিবার বীরভূম জেলার বোলপুরে বিক্ষোভ দেখায় বাংলাপক্ষ। ভারতে বাঙালির জাতীয় সংগঠন বলে দাবি করা এই সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে রবি ঠাকুরের প্রাণের বিশ্বভারতী আজ আক্রান্ত। বাঙালির গর্বের শান্তিনিকেতনকে ধ্বংস করছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা। বাংলা ভাষা বঞ্চিত বিশ্বভারতীর মাটিতে। এই অবস্থায় বাংলাপক্ষ দাবি তুলেছে যে শান্তিনিকেতন বাংলার মাটিতে, তাই সব সাইনবোর্ডে সবার উপরে বাংলা থাকতে হবে। বাঙালির গর্বের পৌষ মেলা ও বসন্ত উৎসব বন্ধ করা চলবে না। হিন্দিতে প্রার্থনা সংগীত চলবে না। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে, বহিরাগত CISF চলবে না। ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগত আগ্রাসন চলবে না এবং যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত এবং বীর সুভাষকে অপমানকারী উপাচার্যের শাস্তি চাই। এদিন বাংলাপক্ষের সভায় বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, সহেলী চক্রবর্তী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। রবি ঠাকুরের মতো পোশাক পরে শান্তিনিকেতনকে ধ্বংস করতে আসছে বহিরাগত হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। বাঙালির শত্রুরা বাঙালির গর্বের শান্তিনিকেতনকে ধ্বংস করতে এলে লড়াই হবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে৷ সেই দাবিই ওঠে সভা থেকে। বোলপুরের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে গর্গ চট্টোপাধ্যায় ডাক দেন যাতে বোলপুরের বাঙালি বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি হিসাবে বিশ্বভারতী বাঁচানোর লড়াইয়ে সামিল হয়। কৌশিক মাইতি বলেন, “আগামীতে বীরভূম জুড়ে সংগঠন জোরালো হবে। দেউচা- পাচামী কয়লা খনি এলাকায় সমস্ত চাকরি- ঠিকা কাজ- টেন্ডারে বাঙালি সহ সকল ভূমি সন্তানের সংরক্ষণের দাবিতে লড়বে বাংলাপক্ষ । **বোলপুরে বাংলা পক্ষর সভা, সংবাদ বিজ্ঞপ্তি** রবি ঠাকুরের প্রাণের বিশ্বভারতী আজ আক্রান্ত। বাঙালির গর্বের শান্তিনিকেতনকে ধ্বংস করছে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদীরা। বাংলা ভাষা বঞ্চিত বিশ্বভারতীর মাটিতে। আজ বাংলা পক্ষর সভায় বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক মাইতি, অমিত সেন, সহেলী চক্রবর্তী, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। রবি ঠাকুরের মতো পোশাক পরে শান্তিনিকেতনকে ধ্বংস করতে আসছে বহিরাগত হিন্দি সাম্রাজ্যবাদী শক্তি। বাঙালির শত্রুরা বাঙালির গর্বের শান্তিনিকেতনকে ধ্বংস করতে এলে লড়াই হবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে৷ সেই দাবিই ওঠে সভা থেকে। বাংলা পক্ষর দাবি- ১. শান্তিনিকেতন বাংলার মাটিতে, তাই সব সাইনবোর্ডে সবার উপরে বাংলা থাকতে হবে। ২. বাঙালির গর্বের পৌষ মেলা ও বসন্ত উৎসব বন্ধ করা চলবে না ৩. হিন্দিতে প্রার্থনা সংগীত চলবে না ৪. ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার জন্য স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে, বহিরাগত CISF চলবে না। ৫. ক্যাম্পাসের মধ্যে বহিরাগত আগ্রাসন চলবে না এবং যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত এবং বীর সুভাষকে অপমানকারী উপাচার্যের শাস্তি চাই। গর্গ চট্টোপাধ্যায় ডাক দেন যাতে বোলপুরের বাঙালি বাংলা পক্ষর নেতৃত্বে বাঙালি হিসাবে বিশ্বভারতী বাঁচানোর লড়াইয়ে সামিল হোন। কৌশিক মাইতি বলেন আগামীতে বীরভূম জুড়ে সংগঠন জোরালো হবে। দেউচা- পাচামী কয়লা খনি এলাকায় সমস্ত চাকরি- ঠিকা কাজ- টেন্ডারে বাঙালি সহ সকল ভূমি সন্তানের সংরক্ষণের দাবিতে লড়বে বাংলা পক্ষ।